মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিরোধকারীদের পাল্টা আক্রমণে সেনাবাহিনীর চার ক্যাপ্টেনসহ জান্তার অন্তত ২০ সদস্য নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাখাইনে আরাকান আর্মির হামলায় নিহত হয়েছে ১২ জন। জবাবে অবরোধ জোরদার করেছে সামরিক বাহিনী।
ম্যাগাওয়েতে সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে বাড়িঘর থেকে পালিয়েছে ১৬ গ্রামের ২০ হাজার বাসিন্দা।
মিয়ানমারের ম্যাগাওয়ে অঞ্চলের সিকফিউ উপজেলায় অন্তত ৫৯টি বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে জান্তার বাহিনী। গত ১৫দিনে জীবন বাঁচাতে পালিয়েছে ১৬ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা।
গুলিতে একজন প্রতিরোধকারী নিহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে আরও একজনকে। হামলায় জান্তা বাহিনীর তিনটি দল অংশ নেয়।
সদস্য ছিলো সাড়ে পাঁচশোর বেশি। নর্দার্ন সিকফিউ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স জানায়, ১৫টি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। জান্তার বিরুদ্ধে
বৃহস্পতিবার প্রতিরোধকারীদের পাল্টা আক্রমণে রাখাইন, মন, শান, কারেন, মান্দালে, সাগাইং ও ইয়াঙ্গুন অঞ্চলে চার সামরিক কর্মকর্তাসহ জান্তার অন্তত ২০ সদস্য নিহত হয়েছে।
মুক্ত করা হয় দুই রাজবন্দীকে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, আরাকান আর্মির হামলায় রাখাইনে জান্তার ১২ সৈন্য নিহত হয়েছে।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের মংডুর কয়েকটি গ্রামে অবরোধ করেছে সামরিক বাহিনী। আটকে পড়ছেন শত শত বাসিন্দা। খাবার ও ওষুধ সংকটে দিন কাটছে তাদের।
তামান্তার গ্রামের এক বাসিন্দা থাইল্যান্ডে মিয়ানমার ভিত্তিক গণমাধ্যম ইরাবতীকে জানায়, তাদের এখন কলাগাছ খেয়ে থাকতে হবে।
রান্নার তেল ফুরিয়ে গেছে অনেক আগে। সামরিক বাহিনী চারদিক থেকে তাদের ঘিরে রাখায় কোথাও পালাতে পারছেন না।
আগস্টের শুরুতে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকি জান্তার কাছ থেকে দখল করে আরকান আর্মি। তারপর ওই অঞ্চলে অবরোধ জোরদার করে সামরিক বাহিনী।
বিভিন্ন সড়কে অসংখ্য নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করেছে তারা। বাস ও ট্রাকে কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাস চলাচল খুবই সীমিত।
গত দু’মাসে জান্তার কাছ থেকে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইনের সাতটি নিরাপত্তা চৌকির দখল নেয় আরাকান আর্মি।
শুধু থাই নয়, হামলার ভয়ে পালেতোয়ার কয়েকটি চৌকি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে জান্তা বাহিনী। বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক স্থানেই পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে মিয়ানমার সেনারা। সুত্র: একাত্তর টিভি
পাঠকের মতামত